স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় রোহিঙ্গা নাগরিকদের জাতীয় পরিচয়পত্র দিয়ে ভোটার তালিকায় অন্তর্ভুক্ত করার অভিযোগে অভিযান চালিয়েছে দুর্নীতি দমন কমিশন (দুদক)।
অভিযোগ খতিয়ে দেখতে সোমবার (১৫ জানুয়ারি) দুদকের কক্সবাজার সমন্বিত জেলা কার্যালয় থেকে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া গেছে।
দুদকের উপ-পরিচালক (জনসংযোগ) আকতারুল ইসলাম এসব তথ্য জানিয়েছেন।
দুদক জানায়, স্থানীয় জনপ্রতিনিধিদের সহযোগিতায় জাতীয় পরিচয়পত্র করিয়ে নেওয়ার মাধ্যমে ভোটার তালিকায় রোহিঙ্গা নাগরিকদের অন্তর্ভুক্তিকরণের অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে এনফোর্সমেন্ট অভিযান পরিচালনা করা হয়।
এনফোর্সমেন্ট টিম সরেজমিনে ঘটনাস্থল পরিদর্শন করে। টিম সংশ্লিষ্ট ইউনিয়ন পরিষদের চেয়ারম্যান, মেম্বার ও স্থানীয় জনসাধারণের সঙ্গে অভিযোগের বিষয়ে আলোচনা করে। তাদের সঙ্গে কথা বলে অভিযোগের প্রাথমিক সত্যতা পাওয়া যায়। অভিযান পরিচালনাকালে উপজেলা নির্বাচন অফিস, কক্সবাজার সদর থেকে রেকর্ডপত্র সংগ্রহ করে দুদক টিম।
সংগৃহীত রেকর্ডপত্র পর্যালোচনা করে এনফোর্সমেন্ট টিম কমিশনে বিস্তারিত রিপোর্ট দাখিল করবে বলে জানিয়েছ দুদক।
অন্যদিকে একই দিন শরীয়তপুর জেলার বিআরটিএ অফিস কার্যালয়ের কর্মকর্তা-কর্মচারীদের বিরুদ্ধে মোটরসাইকেলের রেজিস্ট্রেশন করতে আসা গ্রাহকদের কাছ থেকে ঘুষ দাবির অভিযোগে মাদারীপুর অফিস থেকে আরও একটি অভিযান পরিচালনা করেছে দুদক। এনফোর্সমেন্ট টিম ছদ্মবেশে সেবাগ্রহীতাদের সঙ্গে কথা বলে অফিসের আশেপাশে দালালদের উপস্থিতি পায়। অভিযানকালে একজন সেবাগ্রহীতার কাছ ঘুষ নেওয়া একজন দালালকে চিহ্নিত করেছে। দুদকের হস্তক্ষেপে ভুক্তভোগী টাকা পান এবং ওই দালালের বিরুদ্ধে আইনি ব্যবস্থা নেওয়ার নির্দেশনা দেয় টিম। এনফোর্সমেন্ট টিম এ বিষয়ে বিস্তারিত প্রতিবেদন কমিশন বরাবর দাখিল করবে বলে জানা গেছে। সুত্র : ঢাকাপোষ্ট
পাঠকের মতামত